Saturday, May 7, 2011

Alert Pay


ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ পদ্ধতি হচ্ছেপেপাল তবে দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য হচ্ছে বাংলাদেশে এর কোন সার্ভিস নেই এবং কবে নাগাদ এটি চালু হবে তা কেউ সঠিক করে বলতে পারে না। আর এজন্য সবচেয়ে বড় খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদেরকে। পেপাল না থাকার কারণে অনেক রাস্তা ঘুরিয়ে, বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ দিয়ে সবশেষে টাকা হাতে পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে পেপালের বিকল্প না খোজে আমাদের আর কোন উপায় থাকে না। পেপালের প্রধান বিকল্প হিসেবেমানিবুকার্স এটি পেপালের মতই একটি সহজ জনপ্রিয় পেমেন্ট পদ্ধতি। তবে মানিবুকার্সের প্রধান সমস্যা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে এর কোন সার্ভিস নেই, অর্থা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোন ওয়েবসাইট বা সেদেশের কোন ক্লায়েন্টের কাছ থেকে মানিবুকার্সের মাধ্যমে পেমেন্ট পাওয়া যায় না। সুতরাং মানিবুকার্সের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের সমস্যার সমাধান পুরোপুরি হচ্ছে না। বিশেষ করে যারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের ফি পাশ কাটিয়ে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে সরাসরি টাকা পেতে চান তাদের জন্য মানিবুকার্স পেপালের ভাল বিকল্প নয়

তাই তৃতীয় আরেকটি পেমেন্ট পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব যা বাংলাদেশীদের জন্য একটি চমৎকার সমাধান বলা যায়। পদ্ধতিটি হচ্ছে AlertPay এটি একটি কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। ২০০৪ সালে মাত্র জন কর্মচারী নিয়ে এলার্টপে যাত্রা শুরু করে এখন এটি ৭০ জনের অধিক কর্মচারী এবং ৪৫ লক্ষের বেশি ব্যবহারকারী নিয়ে একটি বিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ,৫০০ নতুন ব্যাবহারকারী এলার্টপে সাইটের রেজিষ্ট্রেশন করছে। বিশ্বের ১৯০ টি দেশে এর সার্ভিস রয়েছে, যাতে ২৩টি মূদ্রায় অর্থ লেনদেন করা যায়। এলার্টপে ৪৬টি দেশে আঞ্চলিক ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে থাকে


একাউন্ট তৈরির প্রক্রিয়া:
এলার্টপে সাইটে তিন ধরনের একাউন্ট রয়েছে – Personal Starter, Personal Pro এবং Business একাউন্টগুলোর যেকোন একটিতে বিনামূল্যে রেজিষ্ট্রেশন করা যায় এবং পরবর্তীতে যে কোন সময় একাউন্ট পরিবর্তন করা যায়। তিনটি একাউন্টের সাহায্যই ইন্টারনেটে নিরাপদে কেনাকাটা করা এবং বিনামূল্যে অন্য ব্যবহারকারীকে টাকা পাঠানো যায়। এর বাইরে তিনটি একাউন্টের আলাদা আলাদা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এগুলো হচ্ছে -

) Personal Starter:
এই ধরনের একাউন্টের একমাত্র বড় সুবিধা হচ্ছে অন্য এলার্টপে ব্যবহারকারী থেকে টাকা গ্রহণ করতে কোন ধরনের ফি দিতে হয় না। তবে এই ধরনের একাউন্টে কেউ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা দিলে তা পাওয়া যায় না। আরেকটি অসুবিধা হচ্ছে মাসে ৪০০ ডলারের বেশি টাকা গ্রহণ করা যায় না এবং সকল পেমেন্টসহ সর্বমোট ,০০০ ডলারের বেশি অর্থ গ্রহণ করা যাবে না

) Personal Pro:
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই ধরনের একাউন্টে সকল ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। এখানে টাকা গ্রহণে কোন সীমাবদ্ধতা নেই তবে এক্ষেত্রে অন্য একজন এলার্টপে ব্যবহারকারী থেকে টাকা গ্রহণ করলে .% + .২৫ ডলার ফি দিতে হয়। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোন ব্যবহারকারী টাকা পাঠালে ফি এর পরিমাণ হয় .% + .২৫ ডলার। এই ধরনের একাউন্টের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে এর ব্যাবহারকারী ইচ্ছে করলে নিজের ওয়েবসাইটে এলার্টপে যুক্ত করে কোন পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে পারবে এবং ক্রেতার কাছ থেকে সহজেই টাকা গ্রহণ করতে পারবে

) Business:
এই একাউন্টটির সাহায্যে আপনার নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এখানে একটি একাউন্টের সাহায্যে একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। এই একাউন্টের আরেকটা সুবিধা হচ্ছে একসাথে একাধিক ব্যাবহারকারীকে টাকা পাঠানো যায়। আর টাকা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে Personal Pro একাউন্টের মতই সমপরিমাণ ফি দিতে হয়

এলার্টপে সাইটে রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি পেপাল বা মানিবুকার্স মতই। এজন্য প্রথমে একাউন্টের ধরন নির্ধারণ করে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য, ইমেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড, পিন নাম্বার ইত্যাদি দিতে হবে। পিন নাম্বারটি পাসওয়ার্ডের মতই একটি গোপন নাম্বার যা অর্থ লেনদেনের সময় প্রয়োজন পড়বে। সফলভাবে রেজিষ্ট্রেশন করার পর একাউন্টটি টাকা গ্রহণের উপযোগী হবে। তবে টাকা নিজের ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডে পাঠাতে একাউন্টটিকে Verify করতে হবে। এজন্য Become AlertPay Verified নামক একটি লিংক দেখতে পাবেন। এখানে নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ডকুমেন্ট যেমন পাসপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্টের স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। এছাড়া যাদের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড আছে তারা এর মাধ্যমেও Verify হতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে ফোন নাম্বার যাচাই করা হয়


এলার্টপে একাউন্ট থেকে ৪টি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে টাকা আনা যায়। পদ্ধতিগুলো হলচেক, ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ট্রান্সফার এবং ব্যাংক ওয়্যার

) চেক:
এই পদ্ধতিতে একটি চিঠির মাধ্যমে চেক পাঠানো হয়। চেকের জন্য এলার্টপে-কে ডলার ফি দিতে হয় এবং একাউন্টে সর্বনিম্ন ২০ ডলার হলে চেকের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন করার দিনের মধ্যে একটি চেক আপনার ঠিকানায় পাঠানো হবে, যা হাতে পেতে থেকে সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। চেকটি ডলারে পাঠানো হয় তাই যেসব ব্যাংক ডলারে চেক গ্রহণ করে সেখানে এটি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আরো কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারেবে। সরকারী ব্যাংকের মাধ্যমে চেক থেকে টাকা তোলতে অল্প একটা ফি দিতে হয়, তবে সময় বেশি নিবে। আর বেসরকারী ব্যাংকে তুলনামূলকভাবে বেশি ফি দিতে হবে কিন্তু সময় অনেক কম লাগবে

) ক্রেডিট কার্ড:
যাদের ভিসা বা মাস্টারকার্ড রয়েছে তারা এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই টাকা আনতে পারবেন। এলার্টপে সাইটে ক্রেডিট কার্ডের কথা বলা হলেও এটি ডেবিট কার্ডও সাপোর্ট করে। আমারদের দেশে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারদের Payoneer ডেবিট মাস্টারকার্ড রয়েছে। তারাও এই কার্ডে সহজেই টাকা আনতে পারবেন। এজন্য প্রথমে এলার্টপে সাইটে কার্ডটি যোগ করতে হবে। কার্ডটি যাচাই করার জন্য এলার্টপে আপনার কার্ড থেকে থেকে ডলারের মধ্যে একটি অর্থ এলার্টপে একাউন্টে নিয়ে আসবে। এরপর Payoneer সাইটে লগইন করে দেখতে হবে কত ডলার লেনদেন হয়েছে এবং সেই পরিমাণটি এলার্টপে সাইটে এসে একটি টেক্সটবক্সে প্রবেশ করাতে হবে। সঠিকভাবে ডলারের পরিমাণটি বলতে পারলে আপনার কার্ডটি অর্থ লেনদেনের জন্য উপযোগী হবে। লক্ষ্যণীয় যে, আপনার এলার্টপে একাউন্টে অর্থ লেনদেনের মূল মূদ্রা হিসেবে ইউরো থাকলে কার্ড যাচাইয়ের পূর্বেই ডলারে পরিবর্তন নিতে হবে। অন্যথায় সঠিকভাবে কার্ডটি যাচাই হবে না। এলার্টপে থেকে কার্ডে প্রতিবার লেনদেনে ডলার ফি দিতে হয় এবং সর্বনিম্ন ১০ ডলার উঠানো যায়, যা থেকে দিনের মধ্যে কার্ডে সরাসরি চলে আসে। এরপর নিকটস্থ ATM (যেগুলো মার্সারকার্ড সাপোর্ট করেযেমন DBBL, Standard Chartered Bank) থেকে যে কোন সময় টাকা তোলা যায়। যাদের Payoneer মাস্টারকার্ড নেই তারা www.vworker.com সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে একটি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। মাস্টারকার্ডটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এই লিংক থেকে

) ব্যাংক ট্রান্সফার:
এলার্টপে থেকে বাংলাদেশে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা আনা যায় না। তবে যাদের Payoneer মাস্টারকার্ডে US Virtual Account নামক সার্ভিসটি আছে তারা এই পদ্ধতিতে মাত্র . ডলারের বিনিময়ে কার্ডে টাকা আনতে পারেন। আর সময় লাগে মাত্র থেকে দিন। যারা এক বছর থেকে Payoneer কার্ডটি ব্যবহার করছেন তারা এই US Virtual Account এর জন্য Payoneer সাইটে আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের First Bank of Delaware নামক ব্যাংকের একটি ভার্চুয়াল একাউন্ট দেয়া হবে। এই ব্যাংকের সাথে মাস্টারকার্ডটি যুক্ত থাকে। অর্থা কেউ যদি আপনার ওই ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠায় তখন এটি সরাসরি আপনার কার্ডে জমা হয়ে যাবে। তবে এই ব্যাংক একাউন্ট থেকে কখনও অন্যকে আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন না, শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারবেন। এলার্টপে সাইটে এই ব্যাংক একাউন্টটি যুক্ত করতে প্রথমে Add Bank Account পৃষ্ঠায় গিয়ে দেশ হিসেবে United States সিলেক্ট করতে হবে। তারপর Bank Transfer সিলেক্ট করে একাউন্টটির নাম্বার, ABA Routing নাম্বার, ব্যাংকের নাম ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে, যা Payoneer সাইট থেকে পাওয়া যাবে। এরপর এলার্টপে থেকে আপনার একাউন্টে ডলারের কম দুটি অল্প অর্থ পাঠানো হবে যা Micro Deposit নামে পরিচিত। দুই দিন পর Payonner সাইটে লগইন করে ডলার দুটি দেখতে পাবেন। এই দুটি লেনদেনের পরিমাণ এলার্টপে সাইটে এসে দুটি টেক্সটবক্সে প্রবেশ করতে হবে। সফলভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারলে আপনি সবচেয়ে কম খরচে এলার্টপে থেকে টাকা দেশে আনতে পারবেন

) ব্যাংক ওয়্যার:
যাদের কোন ভিসা বা মাস্টারকার্ড নেই তারা এই পদ্ধতিতে দেশের ব্যাংকে সরাসরি টাকা আনতে পারবেন। এটি সাইটের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পদ্ধতি। এক্ষেত্রে খরচ পড়বে ১৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ৪০ ডলার হলে এই পদ্ধতিতে টাকা উঠানো যাবে। ব্যাংক ওয়্যারের মাধ্যমে বাংলাদেশে আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা আসতে প্রায় এক সপ্তাহের মত সময় লাগবে। ব্যাংক ওয়্যারের জন্য প্রথমে সাইটে আপনার ব্যাংক একাউন্টের নাম্বার, ব্যাংক কোড, ব্রাঞ্চ কোড এবং SWIFT BIC যোগ করতে হবে, যা আপনার ব্যাংকে যোগাযোগ করে তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারেন
প্রধান প্রধান আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে এলার্টপে এখনও ব্যপকভাবে সমাদৃত হয়নি। তবে 99Designs, Magento, Microworks এর মত সাইট, PTC সাইট এবং BUX সাইটগুলোতে ব্যাপকভাবে এলার্টপে এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অর্থ লেনদেন হচ্ছে। বাংলাদেশী প্রচুর ফ্রিল্যান্সার ইতিমধ্যে এলার্টপে এর মাধ্যমে নিয়মিতভাবে টাকা দেশে নিয়ে আসছেন। এলার্টপে সাইটের একটি ভাল সার্ভিস হচ্ছে এর সাপোর্ট সেন্টার যার মাধ্যমে কোন সমস্যায় পড়লে খুব দ্রুতই সমাধান পাওয়া যায়। বিশেষ করে একাউন্ট ভেরিফিকেশন, ব্যাংক একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড যাচাই কোন সমস্যায় পড়লে সাপোর্ট সেন্টার মাত্র কয়েকদিনেই সমস্যাগুলোর সমাধান করে দেয়। এইসকল সুবিধার কারণে এলার্টপে সার্ভিসটির প্রসার দিন দিন বাড়ছে

লেখকমোঃ জাকারিয়া চৌধুরী (লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, লেখাটি তার ব্লগ থেকে নেয়া)
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি মাসিক কম্পিউটার জগম্যাগাজিনেরঅক্টোবর ২০১০সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে

কিছু প্রশ্নোত্তরঃ
**এভাবে টাকা আনাতে আইনের কোন বাধ্যবাধকতা আছে কি?
—- এভাবে টাকা আনতে আইনের বাধা থাকবে কেন? আপনিতো দেশের জন্য বৈধ পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন, তাই নয় কি? সরকার ধরনের পদ্ধতিকে সবসময় ৎসাহিত করছে। তবে আমাদের দূর্ভাগ্য সরকারপেপালকে এখনও পর্যন্ত আমাদের দেশে নিয়ে আসতে পারেনি
**Payoneer মাস্টারকার্ডদিয়ে কিভাবে বাংলাদেশে টাকা তোলা যায় ?
—- Payoneer মাস্টারকার্ড দিয়ে যে কোন ATM (যেগুলো মার্সারকার্ড সাপোর্ট করেযেমন DBBL, Standard Chartered Bank) থেকে টাকা তোলা যায়
**mobile phone or credit card. একটা করলেই হবে?
—- যে কোন একটা পদ্ধতিতে একাউন্ট ভেরিফাই করলেই হবে

Monday, May 2, 2011

Smart Invest

বর্তমান বিশ্বে বিনিয়োগের বিভিন্ন চমৎকার সাইট আছে যা আমরা অনেকেই জানি না আবার অনেকে জেনেও তা অন্যকে বলেনা বা না জেনে উল্ট-পাল্টা মন্তব্য করেআজ আমি আপনাদেরকে এমন একটি সাইট এর কথা জানাবো যেখানে আপনি বিনিয়োগ করতে পারেনযাই হোক কাজের কথায় আসি ! সাইটটি হলো Club-Asteria . এই সাইট থেকে আপনি প্রতি সপ্তাহে  400$ আয় করতে পারেন

ইতোমধ্যে তিনলক্ষাধিক মানুষ এখান থেকে প্রতি মাসে টাকা আয় করছে। যে প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি আয় করবেন সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে চলুন কিছু জানি। তাহলে আসুন প্রথমেই জেনে নিই কে আপনাকে এত টাকা দিবে আর কেনই বা দিবে

ক্লাব এস্টেরিয়া হল অনলাইন ভিত্তিক বাস্তব একটা মুনাফা প্রদানকারী (Profit Sharing Program) প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের আয়ের মূল ৎস হল Remittance Transferসারা বিশ্বে বছরে 400$ Billion  এর বেশি Remittance প্রবাহিত হয়। ক্লাব এস্টেরিয়া হল একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা এই পুরো খাতটাকে ধরতে চায়। তারা এমন এক কাঠামো দাড় করিয়েছে যাতে Remittance এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পাঠাতে খুব কম খরচ হয়। আর এই প্রতিষ্ঠানের কলকাঠি নাড়ছেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক গভর্নর আন্দ্রে লুকাস (Andrea Lucas)



কে এই আন্দ্রে লুকাস ?

বিশ্ব মহলে আন্দ্রে লুকাস কে পরিচয় করিয়ে দেবার মত ধৃষ্টতা আমার নাই। শুধু এতটুকু বলব, অসীম সীমাবদ্ধতার মাঝে থেকেও মনের দৃঢ়তার জোরে যেভাবে উন্নতির শিখর তিনি ছুঁয়েছেন তা কেবল রূপকথায়ই মানায়আন্দ্রের জন্ম আস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে। শিশুকাল থেকে কেমন যেন অদ্ভুত কিসিমের ছিলেন তিনি। পড়াশোনার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ। তার চেয়েও বেশি আগ্রহ বিশ্বকে জানার জীবনকে অনুভব করার। তাই তো আঠারোর গণ্ডি পেরুনোর আগেই মাতৃভূমি ছেড়ে পাড়ি জমালেন কানাডাতে, উচ্চশিক্ষা অর্জন করবেন দুনিয়াটা দেখবেন।
নতুন একটা দেশে সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেয়া, নতুন একটা ভাষা আয়ত্ত করা একটা চ্যলেঞ্জ ছিল। আন্দ্রে সারাদিন একটা ফুলটাইম চাকরি করতেন আর সারারাত করতেন পড়াশোনা। মনোবল আর মেধার জোরে তিনি অধিকার করেছেন বিশ্বব্যাংকের মত প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব। বর্তমানে তিনি অবসরে আছেন। অবসরে আছেন বলতে এখন বই লেখেন, সভা সেমিনারে বক্তব্য দেন। তিনি ডজনখানেক আর্থিক কাঠামো দাড় করিয়েছেন যারা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এর মধ্যে সবচেয়ে ব্যবসা সফল কাঠামো হল ক্লাব এস্টেরিয়া। তিনি নিজে এর তত্তাবধান করেন



ক্লাব এস্টেরিয়ার লক্ষ উদ্দেশ্য !

1. অভিবাসী, উদ্বাস্তু এবং বিশ্বের সকল নাগরিককে অতিরিক্ত আয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক এবং ব্যক্তি জীবনের মানোন্নয়ন।
2.
স্বল্প খরচে, সুবিধাজনক উপায়ে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাধারণ সদস্যদের টাকা পয়সা, সঞ্চয বিশ্বের যে কোন দেশে পাঠাতে সাহায্য করা।
3.
আমাদের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পুষ্টিবিধান, আবাসন প্রকল্প, স্বাস্থ্যখাত এবং শিক্ষাকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে সংগ্রামরত ব্যক্তি, পরিবার এবং গোষ্ঠীর উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
4.
শিক্ষা, -কমার্স সমাধান এবং ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠিত করা।
5.
দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষকে বের করে আনাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য উদ্দেশ্য


ক্লাব এস্টেরিয়ার আয়ের ৎস !
এই প্রতিষ্ঠানের আয়ের মূল ৎস হল Remittance Transfer সারা বিশ্বে বছরে 400$ Billion এর বেশি Remittance প্রবাহিত হয়। তারা স্বল্প খরচে স্বল্প সময়ে Remittance transfer এর মাধ্যমে যে আয় করে তার ৭৫% সদস্যদের মাঝে ডিস্ট্রিবিউট করে দেয়। যারা অনলাইনে ব্যবসা করতে চান, তাদেরকে স্বল্প খরচে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করা। বিভিন্ন বিষয়ে ট্রেনিং, সাপোর্ট টুলস, শপিং টুলস, বিজনেস টুলস, এডুকেশনাল টুলস এর মাধ্যমে আয় তাহলে কিভাবে আপনার Alert pay একাউন্টে প্রতিসপ্তাহে $400 জমা হবে ? প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে Asterio সম্পর্কে


Asterio!

ক্লাব এস্টেরিয়ার একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে আপনি প্রতি সপ্তাহে কিছু পয়েন্ট পাবেন, যা এস্টেরিও হিসেবে পরিচিত। এর উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হবে আপনার সাপ্তাহিক আয়। মাসিক ফি এর বিনিময়ে, অন্য কাউকে ক্লাব এস্টেরিয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া অথবা ক্লাব এস্টেরিয়া থেকে কোন কিছু কেনাকাটা করার মাধ্যমে এস্টেরিওস পাওয়া যায়। ক্লাব এস্টেরিয়া থেকে আয় করতে এস্টেরিওসের ভুমিকা অনেক। এর উপর ভিত্তি করেই ক্লাব এস্টেরিয়ার আয়ের একটা অংশ আপনাকে মুনাফা হিসেবে দেওয়া হবে প্রতি সপ্তাহে। এতক্ষণে আপনি অবশ্যই বুঝে গেছেন যে যত বেশী এস্টেরিওস তত বেশি মুনাফা
 

কিভাবে পাবেন এই এস্টেরিওস!

আপনি যখন 19.95$ দিয়ে গোল্ডেন মেম্বার হবেন তখন আপনাকে ২০ আস্টেরিওস দেওয়া হবে। এরপর যতবার আপনি মাসিক ফি 19.95$ দিবেন ততবার আপনার একাউন্টে ২০ এস্টেরিওস যোগ হবে। তাছাড়া আপনি যেকোনো সময় অতিরিক্ত টাকা দিয়ে পরিমান এস্টেরিওস কিনতে পারবেন। যেমন $500 দিয়ে 500 Asterio পাবেন তাহলে আর আপনাকে মাসিক ফি 19.95$ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না এবং তা প্রথম মাস থেকেই তবে বর্তমানে আপনি ২৫০ ডলার দিয়েও পাবেন ৫০০(২৫০ + ২৫০ বোনাস) এসটেরিও।


আপনি কিভাবে আয় করবেন !


. সাপ্তাহিক রেভিনিউ থেকে আয়: 
সিলভার গোল্ড মেম্বার এর মাঝে গোল্ড মেম্বার হলে সুবিধা বেশী। তাই গোল্ড মেম্বার হলে কিভাবে আয় করবেন তা বলা হবে। প্রতি মাসে আপনি যে মাসিক মেম্বার ফি হিসেবে ২০ ডলার দিবেন তার বিনিময়ে আপনার একাউন্টে ২০টি এস্টেরিও দেয়া হবে যার ভিত্তিতে আপনি প্রতি সপ্তাহে আয় করতে পারবেন। প্রতি সপ্তাহে আপনার এস্টেরিও থেকে আপনাকে ১০% লাভ দেয়া হবে। এই ১০% এর মাঝে % পাবেন বোনাস এস্টেরিও , আর % পাবেন ক্যাশ। বোনাস এস্টেরিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিইনভেস্টেড হয়ে যাবে। এস্টেরিও মানেই ক্যাশ না। তারমানে আপনি প্রতি সপ্তাহে %ক্যাশ প্রফিট পাবেন। আর বাকী % এস্টেরিও আগের ২০টি এস্টেরিও এর সাথে reinvested হয়ে যাবে অটোমেটিক। সাধারনত প্রতি Thursday তে রেভিনিউ ডিস্ট্রিবিউট করা হয়। আর এজন্য প্রতি সপ্তাহে আপনার একাউন্টে ঢুকে আপনার প্রোফাইলে যে নিউজ আসবে তা চেক করে নিতে হবে। যে সপ্তাহে আপনি তা করবেন না, সেই সপ্তাহে আপনার কমিশন জমা হবে না। 
যেমন : গোল্ড মেম্বার হওয়ার পর প্রথম সপ্তাহে ২০টি এস্টেরিও এর ১০% প্রফিট পাবেন সপ্তাহ শেষে। অর্থাত ডলার। এরমাঝে % বা . ডলার মূল্যের এস্টেরিও পাবেন যা বাধ্যতামূলকভাবে ইনভেস্ট হয়ে যাবে এবং বাকী .৪০ ডলার ক্যাশ আপনার একাউন্টে জমা হবে। পরের সপ্তাহে আপনার এস্টেরিও হবে ২০+.=২১. ডলার মূল্যমানের। এবং প্রথম সপ্তাহে যেভাবে ২০ডলার এর হিসেব করা হলো, সেভাবে পরের সপ্তাহে ২১.৬ডলার মূল্যর এস্টেরিও এর হিসেব হবে। এভাবে ১৮ তম মাসে আপনার সাপ্তাহিক আয় সর্বোচ্চ ৪০০ ডলার উন্নিত হবে। আপনার সাপ্তাহিক আয় চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে বাড়তে কিভাবে ৪০০ ডলারে উন্নিত হবে তা দেখার জন্য compensation plan ডাউনলোড করে দেখতে পারেন এখান থেকে
. রেফারাল আয়:
সাপ্তাহিক আয়ের পাশাপাশি আপনি রেফারালের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। মনে রাখবেন, রেফার করা বাধ্যতামূলক নয়। আপনি ইচ্ছা করলে শুধুমাত্র প্রথম পদ্ধতিতেই আয় করে যেতে পারবেন। পাশাপাশি আপনি যদি কাউকে রেফার করতে চান, সেক্ষেত্রে তিনি যদি গোল্ড মেম্বারশীপ গ্রহণ করেন তাহলে আপনি মাসিক ডলার করে পাবেন, আর সিলভার মেম্বার হলে পাবেন .৫০ ডলার করে। এক্ষেত্রে যাকে রেফার করেছেন তাকে আপনাকে স্বক্রিয় থাকতে হবে। অর্থা আপনাদের মাসিক মেম্বার ফী নিয়মিত প্রদান করলেই আপনি এই বোনাস পাবেন। কোনো মাসে যদি আপনি আপনার মেম্বার ফী না দেন, সেক্ষেত্রে আপনার রেফার যদি মাসিক মেম্বার ফী দেন তবুও আপনি রেফারাল বোনাস পাবেন না 
. এস্টেরিও ক্রয:
আপনি মাসের যেকোনো সময় ২০ ডলার থেকে ২০০০০ ডলার মূল্যের এস্টেরিও কিনতে পারবেন। এস্টেরিও আপনার আগের এস্টেরিওর এর সাথে যুক্ত হয়ে পরের সপ্তাহের সাপ্তাহিক আয়কে বাড়িয়ে দিবে। আর আপনি যাকে রেফার করেছেন তিনি যদি এস্টেরিও ক্রয় করেন সেক্ষেত্রে আপনি ১০% ক্যাশ বোনাস পাবেন  
. নেটওয়ার্ক ডিরেক্টর আয়:  
আপনি যদি ১০০০ ডলার দিয়ে এস্টেরিও কেনেন সেক্ষেত্রে আপনি হবেন নেটওয়ার্ক ডিরেক্টর। আপনি আপনার ডাউনলাইনের মেম্বার থেকে মাসিক -৩০% পর্যন্ত পাবেন। সিলভার গোল্ড মেম্বার শুধুমাত্র ডিরেক্ট রেফারাল থেকে আয় করতে পারবেন। কিন্তু নেটওয়ার্ক ডিরেক্টররা ডিরেক্ট ইনডিরেক্ট রেফারাল থেকে আয় করতে পারবেন। আমাদের দেশে মাত্র কয়েকজন নেটওয়ার্ক ডিরেক্টর আছেন
. রেফারাল বোনাস আয়:
এর পাশাপাশি আপনি প্রতি ১০ জন রেফারালের জন্য পাবেন ৫০ ডলার যা একবারই পাবেন

রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি !

. এখানে ক্লিক করে ক্লাব এস্টেরিয়া সাইটে যান।
. সঠিক তথ্য দিয়ে সাইন আপ করুন ফ্রী মেম্বার হিসেবে।
. একাউন্ট খুলতে জিমেইল ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে নতুন জিমেইল আইডি খুলুন।
. একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে আপনার প্রোফাইল এডিট করুন এবং যাবতীয় তথ্য দিয়ে আপডেট করে রাখুন।
. যে ইমেইল দিয়ে একাউন্ট খুলেছেন সেই ইমেইল আইডি দিয়ে এলার্টপেতে পারসোনাল স্টার্টার একাউন্ট খুলুন
. এলার্টপে একাউন্ট আইডি ক্লাব এস্টেরিয়াতে আপনার প্রোফাইলে যোগ করে দিন।
. এলার্টপেতে যদি ২০ ডলার থাকে তাহলে ক্লাব এস্টেরিয়াতে আপনার একাউন্টে ঢুকে মেম্বারশীপ অপশনে ঢুকে গোল্ড মেম্বার সিলেক্ট করে সাবমিট করুন। আপনার এলার্টপে একাউন্টে রিডিরেক্ট করে নিয়ে গেলে ২০ ডলার দিয়ে দিন। 

. এবার আপনার একাউন্টে ঢুকলে দেখবেন লেভেল হিসেবে C দেখাচ্ছে। এর মানে আপনি গোল্ড মেম্বার হয়ে গেছেন। Subscription Due Date যে তারিখ উল্লেখ থাকবে এর আগেই আপনাকে একই পদ্ধতিতে মেম্বারশীপ আপগ্রেড করতে হবে। এখানে মনে রাখবেন যে আপনাকে শুধুমাত্র প্রথম মাস নিজের পকেট থেকে ২০ ডলার করে দিতে হবে যদি আপনি এই সময়ে কাউকে রেফার করতে না পারেন। কারন ৫ম মাসে আপনার মাসিক প্রফিট ২০ ডলারের বেশী হয়ে যাবে যা থেকে আপনি সহজেই আপনার মাসিক মেম্বার ফি দিতে পারবেন। আর আপনি যদি প্রথম মাসেই জনকে রেফার করতে পারেন তাহলে পরের মাস থেকে আপনাকে নিজে থেকে মাসিক ফি দিতে হবে না বললেই চলে। কেননা ২জন থেকে আপনি মাবেন ১৮ ডলার।

 

 আমার ব্যক্তিগত কিছু মতামত! 

ক্লাব এস্টেরিয়া চোখের পলকেই আপনার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিবে না। অল্প দিনেই আপনাকে বিলিওনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখাবে না, এধরনের বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠানই যা দেখায়। এখান থেকে আয় করতে হলে মেধা, সাথে কিছুটা ধৈর্য্য থাকা প্রয়োজন। সাইটটিতে দুই ধরনের মানুষ সফল হবে।

. যাদের অনেক টাকা আছে তারা
. যাদের জনপ্রিয়তা বা পরিচিতি আছে তারা, কারন তাদের পক্ষে সহজেই অন্য কাউকে রেফার করা সম্ভব। মজার ব্যাপার হল ক্লাব এস্টেরিয়া সাইটটিতে গিয়ে কিন্তু কোন কিছু বুঝার উপায় নেই যে আসলে কি হচ্ছে। এমন কি কোন পেজ ্যাঙ্কও তেমন নেই। আলেক্সাতে গিয়ে দেখেন দিন দিন সাইটটির কত উন্নতি হচ্ছে এবং কোন দেশের ট্রাফিক বেশি। যেহেতু সারা বিশ্বে তাদের বিভিন্ন সেবা সংস্থা আছে, এবং বিশ্ব ব্যাংকের টাকাতেই সেগুলো চলে, তাই টেকনিক্যাল কারনেই টাকা আয়ের সেভাবে ফোকাস করে লেখা নেই, যা টাকা আয়ের অন্যান্য সাইটে চোখে লাগার মত করে বলা থাকে। তাদের মেইন স্লোগান হচ্ছে, হেল্প দ্যা পুওর। যে কেন সমস্যার জন্য সারাসরি ফোনে এডমিন এ্যান্ড্রু লুকাসের সাথে কথা বলতে পারবেন। আর হ্যা, আপনারাও প্রথমে ফ্রি একাউন্ট করে রাখতে পারেন। তবে গোল্ড মেম্বার হতে এবং সব ধরনের সাপোর্ট পেতে হলে আপনাকে কারও না কারও রেফারেল হতেই হবে





প্রয়োজনে মেইল করুন : m01713261932@yahoo.com
                Imran Hossain
                Gazipur.